বড়লেখায় মায়ের সম্পত্তি জোরপূর্বক রেজিস্ট্রি করে নিতে ব্যর্থ হয়ে মাকে হত্যা চেষ্টাকারী অত্যাচারী ছেলে আব্দুস শুকুর ১ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে প্রায় আড়াই বছর পালিয়ে বেড়িয়েছেন। অবশেষে সোমবার (১৬ মে) দুপুরে আপিলের নিমিত্তে জামিন চাইতে তিনি আদালতে হাজির হন। বড়লেখা আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আব্দুস শুকুর উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বারহালী গ্রামের সফিক উদ্দিনের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আব্দুস শুকুর মা ছমরুন নেছার বিষয় সম্পত্তি জোরপূর্বক নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নিতে ব্যর্থ হয়ে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকেন। ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত ছেলে আব্দুস শুকুর সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় মা ছমরুন নেছাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালান এবং মায়ের জমি বিক্রির টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ছেলের নির্যাতনে বৃদ্ধা ছমরুন নেছার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর আহত ছমরুন নেছা অত্যাচারী ছেলে আব্দুস শুকুরকে প্রধান আসামী করে আদালতে মামলা (সি.আর-২১৫/২০১৭) করেন। স্বাক্ষ্যপ্রমাণে দন্ডবিধির ৩২৩ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আসামী আব্দুস শুকুরের বিরুদ্ধে আদালত ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন। এরপরই তিনি আত্মগোপন করেন।

বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশের সিএসআই মো. মুজিবুর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে জানান, মায়ের মামলায় ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ছেলে আব্দুস শুকুর দীর্ঘদিন সাজা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। সোমবার আদালতে হাজির হয়ে আপিলের নিমিত্তে সে জামিন চায়। বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।